পড়ালেখা
হুমায়ূন আহমেদের বাবা চাকরি সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে দেন এবং রাজশাহী বোর্ড সব গ্রুপে দ্বীতিয় স্থান লাভ করেন। তিনি পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেনীতে বিএসসি(সম্নান) ও এমএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অধ্যাপক যোসেফ অ্যাডওয়ার্ড গ্লাসের তত্ত্বাবধানে পলিমার কেমিস্ট্রিতে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করেন।
শৈশব
বাবা ফয়জুর রহমানের ধারণা ছিল, তাঁর প্রথম সন্তান হবে মেয়ে। তিনি মেয়ের নামও ঠিক করে রেখেছিলেন। তাঁর অনাগত কন্যাসন্তানটির জন্য তিনি একগাদা মেয়েদের ফ্রকও বানিয়ে রেখেছিলেন।
বানিয়ে রেখেছিলেন রুপার মল। মেয়ে মল পায়ে দিয়ে ঝুম ঝুম করে হাঁটবে আর তিনি মুগ্ধ হয়ে দেখবেন। কিন্তু প্রথম সন্তান হলো ছেলে। তাতে কী? তাঁর এই পুত্র সন্তানটিকে তিনি দীর্ঘদিন মেয়েদের সাজে সাজিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি তাঁর মাথার চুলও ছিল মেয়েদের মতো লম্বা। লম্বা চুলে মা বেণি করে দিতেন। বেণি করা চুলে রং-বেরঙের ফিতা পরে হুমায়ূন আহমেদের শৈশবের শুরু।
হুমায়ূন আহমেদের শৈশবের প্রথম অধ্যায়টি যতটা স্নেহ ও মমতায় কেটেছে, দ্বিতীয় অধ্যায়টি কেটেছে ততটা বঞ্চনার ভেতর দিয়ে। শৈশবে তাঁর মা টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হন। জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পর তাঁর স্মৃতিভ্রম দেখা দেয়। তিনি কাউকেই চিনতে পারছেন না, এমনকি তাঁর ছেলেকেও না। ফলে হুমায়ূন আহমেদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নানার বাড়ি মোহনগঞ্জে। সেখানে দুই বছর তিনি নানা-নানির আদরে বেড়ে ওঠেন।
দুই বছর পর মা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর ১০ বছর বয়স পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের শৈশব কেটেছে হেসে-খেলে। বাবার চাকরি সূত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তিনি শৈশব কাটিয়েছেন।
সিলেট থেকে বাবা বদলি হন দিনাজপুরের জগদ্দলে। সেখানে জঙ্গলের ভেতর এক জমিদার বাড়িতে তাঁরা থাকতেন। জগদ্দলের দিনগুলি তাঁর কাছে ছিল হিরণ্ময়। বাবার সঙ্গে জঙ্গলে ভ্রমণ করতেন। গুলিভর্তি রাইফেল হাতে বাবা তাঁর ছেলেমেয়েদের নিয়ে জঙ্গলে ঢুকতেন। ঘন পাতার ফাঁক দিয়ে অল্প অল্প আলো আসত। থমথমে জঙ্গল। বিচিত্র সব পাখি ডাকত। বুনো ফুলের গন্ধ। পরিষ্কার বনে চলার পথ। বিচিত্র বুনো ফল। জঙ্গল পেরোলেই নদী। চকচকে বালির ওপর দিয়ে স্বচ্ছ পানি বয়ে যেত। দুপুরে সেই নদীতে গোসল করতেন। একবারেই আলাদা এক জীবন।
জগদ্দল থেকে আবার বদলি পঞ্চগড়ে। সেখানে ভোরবেলা বাসার সামনে দাঁড়ালে কাঞ্চন জঙ্ঘার তুষার-শুভ্র চূড়া চোখের সামনে ঝলমল করে উঠত। পঞ্চগড় থেকে এবার রাঙামাটি। পাহাড়ি উপত্যকায় আবার সেই উদ্দাম ঘুরে বেড়ানোর দিন। হুমায়ূন আহমেদের শৈশব কেটেছে এমনি স্বপ্নময়তার ভেতর দিয়ে।
শৈশবে হুমায়ূন আহমেদ যত জায়গায় গেছেন তার মধ্যে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ছিল দিনাজপুরের জগদ্দল। এর প্রধান কারণ ছিল, তাঁরা যেখানে থাকতেন তার আশপাশে কোনো স্কুল ছিল না। স্কুলের কথা মনে হলেই হুমায়ূন আহমেদের মুখ তেতো হয়ে যেত। মা-বাবা তাঁকে স্কুলে পাঠাতেন বটে, তবে স্কুলে সময় কাটাতেন কেবল দুষ্টুমি করে। টেনেটুনে পাস করতেন।
প্রাইমারি স্কুল পাসের পর এই হুমায়ূন বদলে যান। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ওঠার পর থেকে স্কুলের প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়তে থাকে। আগ্রহটা এমনই ছিল যে এসএসসি পরীক্ষার ফল বের হওয়ার পর দেখা গেল, তিনি সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছেন।
বানিয়ে রেখেছিলেন রুপার মল। মেয়ে মল পায়ে দিয়ে ঝুম ঝুম করে হাঁটবে আর তিনি মুগ্ধ হয়ে দেখবেন। কিন্তু প্রথম সন্তান হলো ছেলে। তাতে কী? তাঁর এই পুত্র সন্তানটিকে তিনি দীর্ঘদিন মেয়েদের সাজে সাজিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি তাঁর মাথার চুলও ছিল মেয়েদের মতো লম্বা। লম্বা চুলে মা বেণি করে দিতেন। বেণি করা চুলে রং-বেরঙের ফিতা পরে হুমায়ূন আহমেদের শৈশবের শুরু।
হুমায়ূন আহমেদের শৈশবের প্রথম অধ্যায়টি যতটা স্নেহ ও মমতায় কেটেছে, দ্বিতীয় অধ্যায়টি কেটেছে ততটা বঞ্চনার ভেতর দিয়ে। শৈশবে তাঁর মা টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হন। জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পর তাঁর স্মৃতিভ্রম দেখা দেয়। তিনি কাউকেই চিনতে পারছেন না, এমনকি তাঁর ছেলেকেও না। ফলে হুমায়ূন আহমেদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নানার বাড়ি মোহনগঞ্জে। সেখানে দুই বছর তিনি নানা-নানির আদরে বেড়ে ওঠেন।
দুই বছর পর মা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর ১০ বছর বয়স পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের শৈশব কেটেছে হেসে-খেলে। বাবার চাকরি সূত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তিনি শৈশব কাটিয়েছেন।
সিলেট থেকে বাবা বদলি হন দিনাজপুরের জগদ্দলে। সেখানে জঙ্গলের ভেতর এক জমিদার বাড়িতে তাঁরা থাকতেন। জগদ্দলের দিনগুলি তাঁর কাছে ছিল হিরণ্ময়। বাবার সঙ্গে জঙ্গলে ভ্রমণ করতেন। গুলিভর্তি রাইফেল হাতে বাবা তাঁর ছেলেমেয়েদের নিয়ে জঙ্গলে ঢুকতেন। ঘন পাতার ফাঁক দিয়ে অল্প অল্প আলো আসত। থমথমে জঙ্গল। বিচিত্র সব পাখি ডাকত। বুনো ফুলের গন্ধ। পরিষ্কার বনে চলার পথ। বিচিত্র বুনো ফল। জঙ্গল পেরোলেই নদী। চকচকে বালির ওপর দিয়ে স্বচ্ছ পানি বয়ে যেত। দুপুরে সেই নদীতে গোসল করতেন। একবারেই আলাদা এক জীবন।
জগদ্দল থেকে আবার বদলি পঞ্চগড়ে। সেখানে ভোরবেলা বাসার সামনে দাঁড়ালে কাঞ্চন জঙ্ঘার তুষার-শুভ্র চূড়া চোখের সামনে ঝলমল করে উঠত। পঞ্চগড় থেকে এবার রাঙামাটি। পাহাড়ি উপত্যকায় আবার সেই উদ্দাম ঘুরে বেড়ানোর দিন। হুমায়ূন আহমেদের শৈশব কেটেছে এমনি স্বপ্নময়তার ভেতর দিয়ে।
শৈশবে হুমায়ূন আহমেদ যত জায়গায় গেছেন তার মধ্যে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ছিল দিনাজপুরের জগদ্দল। এর প্রধান কারণ ছিল, তাঁরা যেখানে থাকতেন তার আশপাশে কোনো স্কুল ছিল না। স্কুলের কথা মনে হলেই হুমায়ূন আহমেদের মুখ তেতো হয়ে যেত। মা-বাবা তাঁকে স্কুলে পাঠাতেন বটে, তবে স্কুলে সময় কাটাতেন কেবল দুষ্টুমি করে। টেনেটুনে পাস করতেন।
প্রাইমারি স্কুল পাসের পর এই হুমায়ূন বদলে যান। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ওঠার পর থেকে স্কুলের প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়তে থাকে। আগ্রহটা এমনই ছিল যে এসএসসি পরীক্ষার ফল বের হওয়ার পর দেখা গেল, তিনি সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছেন।
আপনি আরও জানতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন!
জন্ম এবং নাম পরিবর্তন, শৈশব এবং পড়ালেখা, পেশা জীবন, বিবাহিত জীবন, ব্যাক্তি জীবন, বসবাস,সাহিত্যকৃতি, যেভাবে সাহিত্য আসক্ত হলেন, তার লেখা উপন্যাস সমূহ, নাটকরচনা, ছবি তৈরি, কবি হিসেবে, হুমায়ন আহমেদের গান, আকিয়ে, যাদুকর, বাবা হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, স্বামী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, ভাই হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ,সন্তান হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, সহকর্মী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, নূহাশ পল্লী, হুমায়ূনের সেন্টমার্টিনে সমদ্র বিলাস, ১৯৭১ সালে হুমায়ূন আহমেদ, অবদান, পুরুষ্কার, আত্নজীবনী নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ, নেশা, মরন ব্যাধী ক্যান্সার, জীবনের শেষ দিন গুলি
জন্ম এবং নাম পরিবর্তন, শৈশব এবং পড়ালেখা, পেশা জীবন, বিবাহিত জীবন, ব্যাক্তি জীবন, বসবাস,সাহিত্যকৃতি, যেভাবে সাহিত্য আসক্ত হলেন, তার লেখা উপন্যাস সমূহ, নাটকরচনা, ছবি তৈরি, কবি হিসেবে, হুমায়ন আহমেদের গান, আকিয়ে, যাদুকর, বাবা হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, স্বামী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, ভাই হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ,সন্তান হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, সহকর্মী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, নূহাশ পল্লী, হুমায়ূনের সেন্টমার্টিনে সমদ্র বিলাস, ১৯৭১ সালে হুমায়ূন আহমেদ, অবদান, পুরুষ্কার, আত্নজীবনী নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ, নেশা, মরন ব্যাধী ক্যান্সার, জীবনের শেষ দিন গুলি