বসবাস
হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকা ধানমন্ডির ৩/এ রোডে নির্মিত দখিন হাওয়া অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্লাটে থাকতেন। আর ঢাকার অদূরে গাজীপুরের গ্রামাঞ্চালে স্থাপিত বাগান বাড়ি নূহাশ পল্লীতে তার বেশির ভাগ সময় কাটে।
সাহিত্য কৃতি
ছাত্র জীবনে একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস লেখার মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য জীবন শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্র হুমায়ূন আহমেদের এ উপন্যাসের নাম ‘নন্দিত নরকে’। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উপন্যাসটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।১৯৭২ সালে কবি-সাহিত্যিক আহমদ সফার উদ্যোগে উপন্যাসটি খান ব্রাদার্সের মাধ্যমে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রখ্যাত বাংলা ভাষা পন্ডিত আহমদ শরীফ স্বত:প্রবৃত্ত হয়ে এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখে দিলে বাংলাদেশের সাহিত্যামোদী মহলে কৌতহল সুষ্টি হয়। ‘নন্দিত নরকে’ যখন প্রকাশ হয়, তখনই বোঝা গিয়েছিল কথাসাহিত্যের কঠিন ভুবনে তিনি হারিয়ে যেতে আসেননি। তাঁর এই অমিত সম্ভাবনা তখনই টের পেয়ে প্রখ্যাত লেখক-সমালোচক আহমদ শরীফ এক গদ্যের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদকে অভিনন্দিত করেছিলেন। আহমদ শরীফের প্রশংসা যে অপাত্রে ছিল না, তা তো আজ সর্বজনবিদিত। ‘শঙ্খনীল কারাগার’ তার ২য় গ্রন্থ। হুমায়ূন আহমদ তিন শতাধিক গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাস প্রকাশ করেছেন। তার রচনার প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্টের মধ্যে অন্যতম হল গল্প-সমৃদ্ধি।এ ছাড়া তিনি অনায়াসে ও বিশ্বাসযোগ্য ভাবে অতিবাস্তব ঘটনাবলীর অবতারণা করেন যাকে একরুপ যাদু-বাস্তবতা হিসেবে গণ্য করা যায়। তার গল্প ও উপন্যাস সংলাপ প্রধান।তার বর্ণনা পরিমিত এবং সামান্য পরিসরে কয়েকটি মাত্র বাক্যের মাধ্যমে চরিত্র চিত্রণের অদৃষ্টপূর্ব প্রতিভা তার রয়েছে।তার রচনায় রাজনৈতিক প্রণোদনা অনুপস্থিত।সকল রচনাই একটি প্রগাঢ় শুভবোধ থাকে,ফলে ভিলেন চরিত্রেও কার লেখনীতে লাভ করে দরদী রুপায়ণ। অনেক রচনার মধ্যে তার ব্যক্তিগত অভিঙ্বতা এবং উপলব্দির প্রচ্ছাপ দেখা যায়।ঐতিহাসিক বিষয়ে রচিত উপন্যাস ‘মধ্যাহ্ন’ তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে পরিগণিত। এছাড়া ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ আরেকটি বড় মাপের রচনা,যা কি না ১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অবলম্বনে রচিত।তবে সাধারনত তিনি সমসাময়ীক ঘটনাবলী নিয়ে লিখতেন। তার বেশকিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশকিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসুচির অন্তর্ভুক্ত।মধ্যবিত্ত জীবনের কথকতা সহজ-সরল গদ্যে তুলে ধরে তিনি তাঁর পাঠকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন। শুধু মধ্যবিত্ত জীবনের কথকতা বয়ানেই সীমিত নয় তাঁর কৃতিত্ব, বেশ কিছু সার্থক সায়েন্স ফিকশনের লেখকও তিনি। জনপ্রিয় চরিত্র মিসির আলী ও হিমুর স্রষ্টা তিনি।
আপনি আরও জানতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন!
জন্ম এবং নাম পরিবর্তন, শৈশব এবং পড়ালেখা, পেশা জীবন, বিবাহিত জীবন, ব্যাক্তি জীবন, বসবাস,সাহিত্যকৃতি, যেভাবে সাহিত্য আসক্ত হলেন, তার লেখা উপন্যাস সমূহ, নাটকরচনা, ছবি তৈরি, কবি হিসেবে, হুমায়ন আহমেদের গান, আকিয়ে, যাদুকর, বাবা হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, স্বামী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, ভাই হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ,সন্তান হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, সহকর্মী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, নূহাশ পল্লী, হুমায়ূনের সেন্টমার্টিনে সমদ্র বিলাস, ১৯৭১ সালে হুমায়ূন আহমেদ, অবদান, পুরুষ্কার, আত্নজীবনী নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ, নেশা, মরন ব্যাধী ক্যান্সার, জীবনের শেষ দিন গুলি
জন্ম এবং নাম পরিবর্তন, শৈশব এবং পড়ালেখা, পেশা জীবন, বিবাহিত জীবন, ব্যাক্তি জীবন, বসবাস,সাহিত্যকৃতি, যেভাবে সাহিত্য আসক্ত হলেন, তার লেখা উপন্যাস সমূহ, নাটকরচনা, ছবি তৈরি, কবি হিসেবে, হুমায়ন আহমেদের গান, আকিয়ে, যাদুকর, বাবা হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, স্বামী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, ভাই হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ,সন্তান হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, সহকর্মী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ, নূহাশ পল্লী, হুমায়ূনের সেন্টমার্টিনে সমদ্র বিলাস, ১৯৭১ সালে হুমায়ূন আহমেদ, অবদান, পুরুষ্কার, আত্নজীবনী নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ, নেশা, মরন ব্যাধী ক্যান্সার, জীবনের শেষ দিন গুলি